প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস
২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত তা’লীমুল কুরআন ইসলামিয়া মাদরাসা একজন সুদক্ষ পরিচালকের প্রচেষ্টা ও এলাকাবাসীর চাহিদা পূরণে কোমলমতি শিশুদের ইসলামিক ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে আদর্শ ও চরিত্রবান মানুষ গড়ার প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ঠাকুরগাঁও জেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। এলাকাবাসীর সেবার মনোভাব নিয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে এক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা তাঁদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক - শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা।
সভাপতির বাণী
মানব জাতির সূচনা লগ্ন থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ প্রতিনিয়ত জ্ঞান ও কৌশল আয়ত্ব করে চলছে। আর শত সহস্র বছরের সঞ্চিত ও অর্জিত জ্ঞান শেখানো হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যুগের প্রয়োজনে মানবের কল্যাণে সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিরা কখনো কখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এমনি ভাবেই দক্ষ, অভিজ্ঞ, জ্ঞানে সু-গভীর ও বিদ্যানুরাগী এক মহাপুরুষ অধ্যাপক মাওলানা মোঃ আব্দুল মুকিত সাহেব ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ, যোগ্য, আদর্শ ও সুনাগরিক রূপে গড়ে তোলার অভিপ্রায় নিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায়, ঠাকুরগাঁও জেলার পূর্ব গোয়ালপাড়া ২ নং ওয়ার্ড সু-নিবিড় পরিবেশে মানসম্মত ধর্মীয় ও আধুনিক বিদ্যাপীঠ হিসাবে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেছেন তা’লীমুল কুরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসা। সঠিক ধর্মীয় নৈতিক শিক্ষা ও যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি গুনগত ও মানসম্মত শিক্ষাদানে সক্ষম। বর্তমান সরকারের শিক্ষা বিষয়ক নির্দেশনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিক্ষকবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, শিক্ষার্থীদের নিরলস অধ্যয়ন ও অধ্যবসায় এবং অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত পরামর্শে প্রতিষ্ঠানটি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে ৫ম শ্রেণিতে উন্নিত হয়েছে। আল্লাহ তা’য়ালা এই প্রতিষ্ঠানটিকে সঠিক ইসলাম ও আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষার মারকায হিসাবে কবুল করে নিন। আমিন!!!
পরিচালকের বাণী
পরিচালকের বাণী
প্রিয় অভিভাবক,
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্মাতুল্লাহ্, আমরা চাই আমাদের সন্তানরা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হোক, সৎ চরিত্রবান ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী, আইটি এক্সপার্ট, ব্যবসায়ী অথবা সরকারি কর্মকর্তা। কিন্তু সবার আগে হোক একজন আদর্শ মুসলিম। একজন আদর্শ মুসলিম হয়ে পরিবার, সমাজ ও দেশের কল্যাণে সততার সাথে কাজ করুক। যা তার জন্য দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ বয়ে আনবে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা কেবল ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বৈষয়িক ও জাগতিক শিক্ষার অভাবে কর্মক্ষেত্রে সম্মুখীন হয় নানাবিধ সমস্যার। অপরদিকে স্কুল শিক্ষার্থীরা কেবল জাগতিক শিক্ষার মাধ্যমে বৈষয়িক শিক্ষা অর্জন করে। কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়না দ্বীনদারী ও নৈতিকতা। মুসলিম উম্মাহ্র বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে বিশ্ববরেণ্য আলেম ও শিক্ষাবীদদের অদম্য ইচ্ছা, উপদেশ ও পরামর্শেই এই ধরণের মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার প্রেরণা। স্কুল ও মাদ্রাসার অভাবগুলো পূরণে এবং আপনাকে আস্থার সাথে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করার অনুভ‚তি নিয়েই দ্বীন ও জাগতিক শিক্ষার সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় তা’লীমুল কুরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসা (একটি আর্ন্তজাতিক শিক্ষা মিশন)। প্রকৃতপক্ষে কুরআন হিফ্জের কারণে, মেধা বিকশিত এবং উৎকর্ষিত হয় ফলে তা আধুনিক শিক্ষার ক্ষেত্রে অন্তরায় না হয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তা’লীমুল কুরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসা একটি আইকন, শিক্ষা জগতে আধুনিকায়ন, যুগোপযোগী কারিকুলাম, নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলার এক নির্ভরযোগ্য আঙ্গিনা। তাই আসুন, আপনার স্বপ্ন পূরণে তা’লীমুল কুরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসা দেখুন ভাবুন এবং সিদ্ধান্ত নিন। কারণ আপনার সঠিক সিদ্ধান্তেই নিহিত আছে, প্রিয় সন্তানের ইহকালীন ও পরকালীন সফলতা। আমিন